কুমিল্লা জেলাধীন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের প্রায় আধা কিলোমিটার পূর্বদিকে মাধবপুর গ্রামে এই সুদৃশ্য ও কারুকার্যময় বাড়িটি অবস্থিত। ১৩৩২ বংঙ্গাব্দ / ১৯২৫ খ্রিস্টব্দে তৎকালীন ধণ্যাঢ্য ব্যাক্তি জনাব আলতাফুর রহমান মিয়া (রঙ্গু মিয়া) এবং জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান (ছন্দু মিয়া) এই দো’তলা বাড়ীটি নির্মান করেন।। ছন্দু মিয়া ছিলেন জেলা রেজিস্টার। তাহাদের পিতার নাম-মোঃ জারু মিয়া। প্রাসাদ অাকৃতির বাড়িটি ‘সাহেববাড়ি’ নামে পরিচিত। এই বাড়িটিতে বর্তমানে কেউ বসবাস করেন না। বাড়িটি জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। বাড়িটির পূর্বপাশে দুটি ঘাটসহ একটি বড় পুকুর আছে। এর একটি ঘাট সংরক্ষিত করা ছিল মহিলাদের জন্য।
তাহাদের পূর্বপুরুষ ছিলেন শেখ লাল সাহেব। এই শেখ লাল সাহেবের আদিনিবাস ছিল পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায়। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে বাংলার স্বাধীনতা রক্ষায় নবাব সিরাজউদ্দৌলার পক্ষে যে সব দেশপ্রেমিক বীর সেনানীরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জীবন দান করে গেছেন তাদেরই একজন ছিলেন শেখ লাল সাহেবের পিতা মোহন লাল। পলাশীর যুদ্ধের পর মিরজাফর পুত্র মিরনের অত্যাচার থেকে বাঁচার লক্ষ্যে রাতের আঁধারে তাহারা নৌকা যোগে পূর্ববঙ্গের ত্রিপুরা বর্তমানে কুমিল্লা জেলার কালিদাহ সায়য়ের পূর্বপাড়ে চলে আসেন। এই স্থানে পূর্বে কোন জনবসতি ছিলনা। তাই শেখ লাল সাহেব তার পিতামহ মাধব লালের নাম অনুসারে এই স্থানটির নাম রাখেন মাধবপুর এবং পরিবারসহ তিনি এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকেন। পরবর্তিতে ইয়েমান থেকে আগত ধর্ম প্রচারক শেখ মহিউদ্দিন সাহেবের নিকট যিনি পাশ্ববর্তী মিরপুর গ্রামে বসতি স্থাপন করেছিলেন তাঁর নিকট শেখ লাল সাহেব সনাতন ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়ে আত্নীয়তার সম্পর্ক স্থাপন করেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS